ডেস্ক রিপোর্ট
২৯ জুন ২০২২, ২:২০ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১০টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়ন।
বন্যায় এসব এলাকার এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ১৩ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
বানের জলে ভেসে গেছে, শত শত মাছের খামার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদি পশু। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য ১৪০ মে. টন চাল, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল জানান, বন্যায় এ পর্যন্ত জেলায় ৫২৫টি মৎস্যখামার ভেসে গেছে। এতে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খামারিদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ১৩টি উপজেলার ১০টিই প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইটনা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, অষ্টগ্রামের ৮টি, মিঠামইনের ৭টি, তাগাইলের ৭টি, করিমগঞ্জের ১১টি, নিকলীর ৭টি, কটিয়াদীর ৩টি, বাজিতপুরে ৫টি, কুলিয়ারচরে ২টি ও ভৈরব উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ৯৬৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রতিদিন ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫১৫ জনকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। ২৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে বলেও জানান তিনি।