ডেস্ক রিপোর্ট

৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১:৪১ অপরাহ্ণ

বরাদ্দ না থাকায় ওসমানীনগরে হচ্ছে না বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩শ সড়কের সংস্কার কাজ

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ ১:৪১ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

জিতু আহমদ, ওসমানীনগর(সিলেট) : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের ওসমানীনগরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির আওতাধিন অধিকাংশ পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব সড়কের মধ্যে অনেক সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলোতে বিটুমিন উঠে গিয়ে বড়বড় গর্ত হওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একাধিক সড়কের সেতু-কালভার্টের অ্যাপ্রোচ ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। ভাঙাচুরা এসব সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে উপজেলার জনসাধারণকে। বন্যা পরবর্তী সময়ে প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়ক সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৬২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। গত বছরের বন্যায় যার ৯২ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর পাকা-আরসিসি মিলিয়ে ২০২ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছে। উপজেলার ৩৪৯টি সড়কের মধ্যে ৩২০টির উপরে সড়ক সংস্কার প্রয়োজন। এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন সাড়ে ৮৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, গত বছরের জুন-জুলাই মাসের বন্যায় ওসমানীনগরে বেশির ভাগ সড়কে খানা খন্দ হওয়ায় স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির শিকার হন। বন্যা পরবর্তী সময়ে কয়েকটি সড়কে যানচলাচলও বন্ধ ছিল। এছাড়া বন্যায় একাধিক কাঁচা রাস্তার অস্থিত্ব বিলিন হয়ে গেছে। এদিকে, দীর্ঘ ভোগান্তির পর স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি ৪কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের ওসমানীনগর অংশে সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংস্কার কাজের উদ্ভোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে সড়ক সংস্কার কাজ করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। যদিও কার্যাদেশ অনুযায়ী ৯০দিনের মধ্যে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিগত বন্যায় বিভিন্ন সড়কের উপর দিয়ে ২-৫ফুট পানি প্রবাহিত হয়। দির্ঘদিন পানি জমে থাকায় এসব সড়কের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পানি কমায় ভেসে উঠে ভাঙ্গাচুরা সড়ক। বন্যা পরবর্তী এখন পর্যন্ত ৭ মাস অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়ক সংস্কার ও সেতু-কালভার্টগুলোও মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে না।

এবিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এসএম আব্দুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার। সংস্কারের জন্য র্অথ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ সেতু-কালভার্টগুলো মেরামতেও হাত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের ওসমানীনগর অংশে তিন মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন